ফাইল ফটো
বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইয়ের ১৩৩তম প্রয়াণ দিবস আজ। ফকির লালন, লালন সাঁই, লালন শাহ, মহাত্মা লালন ইত্যাদি নামেও পরিচিত তিনি। একাধারে তিনি একজন আধ্যাত্মিক বাউল সাধক, মানবতাবাদী, সমাজ সংস্কারক এবং দার্শনিক। অসংখ্য গানের গীতিকার, সুরকার ও গায়ক ছিলেন তিনি।
লালনকে বাউল গানের অগ্রদূতদের অন্যতম একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং ‘বাউল-সম্রাট’ হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। তার গানের মাধ্যমেই উনিশ শতকে বাউল গান বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
লালন ছিলেন একজন মানবতাবাদী সাধক। যিনি ধর্ম, বর্ণ, গোত্রসহ সব প্রকার জাতিগত বিভেদ থেকে সরে এসে মানবতাকে সর্বোচ্চ স্থান দিয়েছিলেন। অসাম্প্রদায়িক এই মনোভাব থেকেই তিনি তার গান রচনা করেছেন। তার গান ও দর্শন যুগে যুগে প্রভাবিত করেছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ও অ্যালেন গিন্সবার্গের মতো বহু খ্যাতনামা কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিক, বুদ্ধিজীবীসহ অসংখ্য মানুষকে। তার গানগুলো মূলত বাউল গান হলেও বাউল সম্প্রদায় ছাড়াও যুগে যুগে বহু সঙ্গীতশিল্পীর কণ্ঠে লালনের এই গানগুলো উচ্চারিত হয়েছে। এমনকি গান্ধীরও ২৫ বছর আগে, ভারত উপমহাদেশে সর্বপ্রথম, তাকে ‘মহাত্মা’ উপাধি দেওয়া হয়েছিল।
যুগ যুগ ধরেই কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় বাউলেরা পালন করে আসছেন মহাত্মা লালনের অধিষ্ঠান আর প্রয়াণ উৎসব। সময়ের প্রয়োজনে তার দর্শন আজ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত-গ্রহণীয় ও গবেষণার আধারবস্তু।
১৮৯০ সালের ১৭ অক্টোবর ফকির লালন সাঁই ১১৬ বছর বয়সে কুষ্টিয়ার কুমারখালির ছেউড়িয়াতে নিজ আখড়ায় মৃত্যুবরণ করেন। সূএ:ডেইলি-বাংলাদেশ